Wednesday , November 6 2024

সূরা কুরাইশ

সূরা কুরাইশ

শ্রেণীঃ মাক্কী সূরা

সূরার ক্রমঃ ১০৬
আয়াতের সংখ্যাঃ ৪
পারার ক্রমঃ ৩০
পূর্ববর্তী সূরা সূরা ফীল
পরবর্তী সূরা → সূরা আল-মাউন

এই সূরার ব্যাপারে সব তফসীরকারকই একমত যে, অর্থ ও বিষয়বস্তুর দিক দিয়ে এই সূরা সূরা-ফীলের সাথেই সম্পৃক্ত। সম্ভবতঃ এ কারণেই কোন কোন মাসহাফে এ দু’টিকে একই সূরারূপে লেখা হয়েছিল। উভায় সূরার মাঝেখানে বিসমিল্লাহ্‌ লিখিত ছিল না। কিন্তু হযরত ওসমান যখন তাঁর খেলাফতকালে কোরআনের সব মাসহাফ একত্রিত করে একটি কপিতে সংযোজিত করান এবং সাহাবায়ে-কেরামের তাতে ইজমা হয়, তখন তাতে এ দু’টি সূরাকে স্বতন্ত্র দু’টি সূরারূপে সন্নিবেশিত করা এবং উভয়ের মাঝখানে বিসমিল্লাহ্‌ লিপিবদ্ধ করা হয়। হযরত ওসমান -এর তৈরি এ কপিকে ‘ইমাম’ বলা হয়।[১]

শানে নুযূলঃ

সুরা কুরাইশের মধ্যে মহান আল্লাহ কুরায়েশদের নিকট বায়তুল্লাহর গুরুত্ব তুলে ধরে, তাদেরকে একনিষ্ঠভাবে কা‘বার মালিকের ইবাদতের প্রতি আহবান করা হয়েছে। নিম্নে এ বিস্তারিত আলোচনা করা হল—

নবী এর আগমনের বহু পূর্বকাল থেকেই মক্কার কুরাইশরা বিভিন্ন প্রকার কুসংস্কার ও কা’বা শরীফে অবস্থিত ৩৬০ টি মূর্তির পূজায় আসক্ত ছিল। তা সত্ত্বেও মহান আল্লাহ তাদের প্রতি বহুবিদ নিয়ামত ও সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছিলেন শুধু মাত্র কা’বার কারণেই। এমনকি তারা শীতকালে ইয়ামেন ও গ্রীষ্মে সিরিয়া বা সাম দেশে ব্যাবসা বাণিজ্য করতে অভ্যস্ত ছিল। আর পবিত্র কা’বার কারণেই তারা ইয়ামেন ও সিরিয়া নিরাপদে ব্যাবসা বাণিজ্য করতে পারত। তাছাড়া কা’বা শরীফের জন্যই তারা আবরাহ বাদশাহর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। আর এসমস্থ বহুবিদ নিয়ামত তারা প্রাপ্ত হয়েছিল শুধু মাত্র কা’বা শরীফের অধিবাসী বলেই। তাই মহান আল্লাহ আলোচ্য সূরায় কা’বা শরীফের গুরুত্ব তুলে ধরে, তথায় অবস্থিত দেব-দেবীর পূজা-আর্চনা না করে, উক্ত ঘরের প্রভু তথা আল্লহর প্রতি ইবাদত করার আহ্বান করেছেন।

لِإِيلَٰفِ قُرَيْشٍ

إِۦلَٰفِهِمْ رِحْلَةَ ٱلشِّتَآءِ وَٱلصَّيْفِ

فَلْيَعْبُدُوا۟ رَبَّ هَٰذَا ٱلْبَيْتِ

ٱلَّذِىٓ أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَءَامَنَهُم مِّنْ خَوْفٍۭ

লিঈলা-ফি কুরাইশ। ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ। ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত। আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।

১. কোরাইশের আসক্তির কারণে,
২. আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের।
৩. অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার
৪. যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।

About Abdul Latif Sheikh

Check Also

সুরা ফাতিহা আয়াত ২ এর তাফসীর

সুরা ফাতিহা আয়াত ২ ১:২ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰهِ رَبِّ الۡعٰلَمِیۡنَ (২) সমস্ত প্রশংসা সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহর …

বিসমিল্লাহ এর নাম ও ইতিহাস জানুন

১:১ بِسۡمِ اللّٰهِ الرَّحۡمٰنِ الرَّحِیۡمِ ১. রহমান, রহীম আল্লাহর নামে। ১. সাধারণত আয়াতের অনুবাদে বলা হয়ে …

কুরআন তেলাওয়াত এর পূর্বে কি পড়তে হয়

কুরআন তেলাওয়াত এর পূর্বে পড়তে হয় أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *