নিকষ কালো অন্ধকার, আঁধারে ঘিরে আছে চারদিক, কোথাও আলো নেই, নেই কোন দীপশিখা। অন্যায়, অবিচার, অনৈতিক, অসামাজিক কর্মকান্ড আর পাপাচারে ডুবে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছিল গোটা দেশ, জাতি, গোত্র, সমাজ গোষ্ঠী।
অশান্তির সাগরে ভাসছিল জাতি। গোত্রে চলছিল মারামারি হানাহানি। হিংসা-প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলছিল পুরো আরবভূমি। নিঃশেষ হয়েছিল মানবতা, বেড়েই চলছিল জালিমের বর্বরতা। কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না শান্তির স্নিগ্ধ বারিধারা, এমনকি ছিটেফোঁটাও না। মানুষ হন্যে হয়ে খোঁজ করত শান্তির পায়রা। কিন্তু না….। তাকে তো কোথাও পাওয়া যায় না। তাকে খুঁজে বের করা দুস্কর। সে তো ধরা ছোঁয়ার বাইরে। যতদিন যায় শুধু দূরেই যায়!
আর এমন যুগে শান্তি আসবেই বা কী করে? পুরুষ জাতি নারী জাতিকে অশুভ মনে করত; মনে করত ভোগের সামগ্রী। বাবা তার আপন মেয়েকে জীবিত কবর দিত। ছেলে তার মা’র সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হত, মনুষ্যত্ব ভুলে গিয়েছিল সব মানুষের দল।
ইতিহাসের ভাষায় যাকে জাহেলি সমাজ বলা হয়। সেই অন্ধকার জাহেলি সমাজে এমন এক মহামানব আবির্ভূত হলেন, যিনি আঁধারে ঘেরা বর্বর সমাজটাকে সোনালি সমাজে পরিণত করলেন। তিনি কে? কী তাঁর পরিচয়? যিনি অন্ধকার সমাজে আলোর মশাল নিয়ে এলেন, পথহারা মানুষকে সঠিক পথের দিশা দিলেন, আঁধারের গায়ে আলোর বন্যা বইয়ে দিলেন, অসভ্য সমাজে মানবতা-সভ্যতা ফিরিয়ে আনলেন? বঞ্চিত মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিলেন। কে এই মহামানব?
হ্যাঁ বন্ধুরা…………
তিনি আর কেউ নন! তিনি হলেন সেই মহামানব, যিনি তোমার আমার সবার ভালোবাসার মানুষ, যার সাথে কোন তুলনাই হয় না, 
তিনি সর্ব স্রেষ্ঠ মানব, সর্ব স্রেষ্ঠ রসূল, স্রষ্টার সর্বোচ্চ প্রিয় বান্দা হযরত মুহাম্মদ সা. তার সকল কর্ম, কথা সুন্নাত। 
আসুন জেনে নেওয়া যাক সুন্নাত কি আধুনিক বিজ্ঞান এর পরিপূরক না কি সমপূরক । জানতে পড়ুন নিচের বইটি
ISLAMIC DAWAH FOUNDATION The truth is revealed to Islam