Thursday , March 28 2024

সূরা আস-সাফ

সূরা আস-সাফ

শ্রেণীঃ মাদানী সূরা
নামের অর্থঃ সারবন্দী সৈন্যদল

সূরার ক্রমঃ ৬১
আয়াতের সংখ্যাঃ ১৪
পারার ক্রমঃ ২৮
রুকুর সংখ্যাঃ ২
সিজদাহ্‌র সংখ্যাঃ নেই

← পূর্ববর্তী সূরা সূরা আল-মুমতাহিনাহ
পরবর্তী সূরা → সূরা আল-জুমুআ

নামকরণ

এই সূরাটির চতুর্থ আয়াতের يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا বাক্যাংশের صَفًّا অংশ থেকে এই সূরার নামটি গৃহীত হয়েছে; অর্থাৎ, যে সূরার মধ্যে الصّفّ (‘সাফ‌’) শব্দটি আছে এটি সেই সূরা।

নাযিল হওয়ার সময় ও স্থান

কোন নির্ভরযোগ্য বর্ণনা থেকে এর নাযিল হওয়ার সময়-কাল জানা যায় না। কিন্তু এর বিষয়বস্তু নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করলে অনুমান করা যায় যে, সূরাটি সম্ভবত ওহোদ যুদ্ধের সমসাময়িককালে নাযিল হয়ে থাকবে। কারণ এর মধ্যে যেসব পরিবেশ-পরিস্থিতির প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। তা সেই সময়ের সাথেই সংশ্লিষ্ট। [২]
শানে নুযূল

বিষয়বস্তুর বিবরণ

এ সূরার বিষয়বস্তু হলো ঈমানের ব্যাপারে মুসলমানদেরকে নিষ্ঠা ঐকান্তিকতা অবলম্বন এবং আল্লাহর পথে জীবন কুরবানী করতে উদ্ধুদ্ধ করা। এতে দুর্বল ঈমানের মুসলমানদেরও সম্বোধন করা হয়েছে। যারা ঈমানের মিথ্যা দাবি করে ইসলামে প্রবেশ করেছিল তাদেরকেও সম্বোধন করা হয়েছে আবার যারা ঈমানের ব্যাপারে একনিষ্ঠ ছিল তাদেরকেও সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আয়াতে শুধু প্রথম দুটি শ্রেণীকে সম্বোধন করা হয়েছে। কোন কোন আয়াতে শুধু মুনাফিকদের সম্বোধন করা হয়েছে। আবার কোন কোন আয়াতে নিষ্ঠাবান মু’মিনদের প্রতি লক্ষ্য করে কথা বলা হয়েছে। কোন স্থানে কাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য পেশ করা হয়েছে তা বক্তব্যের ধরন থেকেই বুঝা যায়। শুরুতে সমস্ত ঈমানদারদের এই মর্মে সাবধান করা হয়েছে যে, যারা বলে এক কথা কিন্তু করে অন্য রকম কাজ, তারা আল্লাহ তা’আলার দৃষ্টিতে অত্যন্ত ঘৃণিত। আর যারা ন্যায়ের পথে লড়াই করার জন্য মজবুত প্রাচীরের মত দুর্ভেদ্য হয়ে দাঁড়ায় আল্লাহ তা’আলার নিকট তারা অত্যন্ত প্রিয়।

৫ থেকে ৭ আয়াতে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উম্মাতের লোকদেরকে সাবধান করা হয়েছে। এখানে বলা হয়েছে বনী ইসরাঈল জাতি মূসা (আ) এবং ঈসা আলাইহিস সালামের সাথে যে আচরণ করেছে তোমাদের রসূল এবং তোমাদের দ্বীনের সাথে তোমাদের আচরণ সেই রকম হওয়া উচিত নয়। হযরত মুসা(আ) আল্লাহর রসূল একথা জানা সত্ত্বেও তিনি যতদিন জীবিত ছিলেন ততদিন তারা তাঁকে কষ্ট-যন্ত্রণা দিয়েছে এবং হযরত ঈসার (আ) কাছ থেকে স্পষ্ট নির্দেশনাবলী দেখতে পাওয়ার পরও তাকে অস্বীকার করা থেকে বিরত হয়নি। এর ফল দাঁড়িয়েছে এই যে, ঐ জাতির লোকদের মেজাজের ধরন-প্রকৃতিই বাঁকা হয়ে গিয়েছে এবং হিদায়াত লাভের তাওফিক বা শুভবুদ্ধি থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছে। এটা এমন কোন বাঞ্ছনীয় বা ঈর্ষনীয় অবস্থা নয় যে, অন্য কোন জাতি তা লাভের জন্য উদগ্রীব হবে।

এরপর ৮ ও ৯ আয়াতে চ্যালেঞ্জ করে ঘোষণা করা হয়েছে যে, ইহুদী ও খৃস্টান এবং তাদের সাথে ষড়যন্ত্রকারী মুনাফিকরা আল্লাহর এই নূরকে নিভিয়ে দেয়ার যতই চেষ্টা-সাধনা করুক না কেন তা পুরা শানশওকতের সাথে গোটা পৃথিবীতে অবশ্যই বিস্তার লাভ করবে। মুশরিকরা যতই অপছন্দ করুক না কেন আল্লাহর মহান রসূলের আনীত দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা অন্য সব জীবনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অবশ্যই বিজয়ী হবে।

অতপর ১০ থেকে ১৩ পর্যন্ত আয়াতে ঈমানদারদের বলা হয়েছে যে, দুনিয়া এবং আখেরাতে সফলতা লাভের পথ মাত্র একটি। তা হলো খাঁটি ও সরল মনে আল্লাহ তার রসূলের ওপর ঈমান আনো এবং জান-মাল দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করো। এর ফল হিসেবে আখেরাতে পাবে আল্লাহর আযাব থেকে মুক্তি, গোনাহসমূহের মাগফিরাত এবং চিরদিনের জন্য জান্নাত। আর দুনিয়াতে পুরস্কার হিসেবে পাবে আল্লাহর সাহায্য সহযোগিতা এবং বিজয় ও সফলতা।

সূরার শেষে ঈমানদারদের বলা হয়েছে যে, হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে তাঁর হাওয়ারী বা সাহায্যকারীরা আল্লাহর পথে যেভাবে সহযোগিতা করেছে তারাও যেন অনুরূপভাবে ‘আনসারুল্লাহ’ বা আল্লাহর সাহায্যকারী হয়ে দাঁড়ায় যাতে ইতিপূর্বে ঈমান আনয়নকারি গণ যেভাবে আল্লাহর সাহায্য-সহযোগিতা লাভ করেছিলেন তারাও কাফেরদের বিরুদ্ধে তেমনি সাহায্য সহযোগিতা লাভ করতে পারে।

بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
আরবি উচ্চারণ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বাংলা অনুবাদ পরম করুণাময় অতি দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ61.1 আরবি উচ্চারণ ৬১.১। সাব্বাহা লিল্লা-হি মা-ফিস্ সামা-ওয়া-তি অমা-ফিল্ র্আদ্বি অহুওয়াল্ ‘আযীযুল্ হাকীম্। বাংলা অনুবাদ ৬১.১ আসমানসমূহে যা কিছু আছে ও যমীনে যা কিছু আছে, সবই আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করছে। আর তিনি মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لِمَ تَقُولُونَ مَا لَا تَفْعَلُونَ61.2 আরবি উচ্চারণ ৬১.২। ইয়া য় আইয়্যুহাল্ লাযীনা আ-মানূ লিমা-তাকুলূনা মা-লা-তাফ্‘আলূন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.২ হে ঈমানদারগণ, তোমরা তা কেন বল, যা তোমরা কর না। كَبُرَ مَقْتًا عِنْدَ اللَّهِ أَنْ تَقُولُوا مَا لَا تَفْعَلُونَ61.3 আরবি উচ্চারণ ৬১.৩। কাবুরা মাকতান্ ই’ন্দাল্লা-হি আন্ তাকুলূ মা-লা- তাফ্‘আলূন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৩ তোমরা যা কর না, তা বলা আল্লাহর নিকট বড়ই ক্রোধের বিষয়। إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِهِ صَفًّا كَأَنَّهُمْ بُنْيَانٌ مَرْصُوصٌ 61.4 আরবি উচ্চারণ ৬১.৪। ইন্নাল্লা-হা ইয়ুহিব্বুল্ লাযীনা ইয়ুক্ব-তিলূনা ফী সাবীলিহী ছোয়াফ্ফান্ কাআন্নাহুম্ বুন্ইয়া-নুম্ র্মাছূছ্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৪ নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে ভালবাসেন, যারা তাঁর পথে সারিবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে যেন তারা সীসা ঢালা প্রাচীর। وَإِذْ قَالَ مُوسَى لِقَوْمِهِ يَا قَوْمِ لِمَ تُؤْذُونَنِي وَقَدْ تَعْلَمُونَ أَنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ فَلَمَّا زَاغُوا أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ61.5 আরবি উচ্চারণ ৬১.৫। অইয্ ক্ব-লা মূসা- লিক্বওমিহী ইয়া-ক্বওমি লিমা-তু”যূনানী অক্বত্ তা’লামূনা আন্নী রাসূলুল্লা-হি ইলাইকুম্; ফালাম্মা-যা-গূ য় আযা-গল্লা-হু কুলূবাহুম্; অল্লা-হু লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বওমাল্ ফা-সিক্বীন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৫ আর মূসা যখন তার সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘হে আমার সম্প্রদায়, তোমরা আমাকে কেন কষ্ট দিচ্ছ, অথচ তোমরা নিশ্চয় জান যে, আমি অবশ্যই তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল’। অতঃপর তারা যখন বাঁকাপথ অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের হৃদয়গুলোকে বাঁকা করে দিলেন। আর আল্লাহ পাপাচারী সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। وَإِذْ قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ يَا بَنِي إِسْرَائِيلَ إِنِّي رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْكُمْ مُصَدِّقًا لِمَا بَيْنَ يَدَيَّ مِنَ التَّوْرَاةِ وَمُبَشِّرًا بِرَسُولٍ يَأْتِي مِنْ بَعْدِي اسْمُهُ أَحْمَدُ فَلَمَّا جَاءَهُمْ بِالْبَيِّنَاتِ قَالُوا هَذَا سِحْرٌ مُبِينٌ61.6 আরবি উচ্চারণ ৬১.৬। অইয্ ক্ব-লা ‘ঈসাব্নু র্মাইয়ামা ইয়াবানী য় ইস্র-ঈলা ইন্নী রসূলুল্ লা-হি ইলাইকুম্ মুছোয়াদ্দিক্বাল্লিমা-বাইনা ইয়াদাইয়্যা মিনাত তাওর-তি অমুবাশ্শিরম্ বিরাসূলিঁই ইয়া”তী মিম্ বা’দিস্মুহূ য় আহ্মদ্; ফালাম্মা-জ্বা-য়াহুম্ বিল্ বাইয়্যিনা-তি ক্ব-লূ হা-যা সিহ্রুম্ মুবীন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৬ আর যখন মারইয়াম পুত্র ঈসা বলেছিল, ‘হে বনি ইসরাঈল, নিশ্চয় আমি তোমাদের নিকট আল্লাহর রাসূল। আমার পূর্ববর্তী তাওরাতের সত্যায়নকারী এবং একজন রাসূলের সুসংবাদদাতা যিনি আমার পরে আসবেন, যার নাম আহমদ’। অতঃপর সে যখন সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে আগমন করল, তখন তারা বলল, ‘এটাতো স্পষ্ট যাদু । وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ افْتَرَى عَلَى اللَّهِ الْكَذِبَ وَهُوَ يُدْعَى إِلَى الْإِسْلَامِ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الظَّالِمِينَ61.7 আরবি উচ্চারণ ৬১.৭। অ মান্ আজ্লামু মিম্মানিফ্তার- ‘আলাল্লা-হিল্ কাযিবা অহুওয়া ইয়ুদ্‘আ য় ইলাল্ ইস্লা-ম্; অল্লা-হু লা-ইয়াহ্দিল্ ক্বওমাজ্ জোয়া-লিমীন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৭ সেই ব্যক্তির চেয়ে অধিক যালিম আর কে? যে আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা রচনা করে, অথচ তাকে ইসলামের দিকে আহবান করা হয়। আর আল্লাহ যালিম সম্প্রদায়কে হিদায়াত করেন না। يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ61.8 আরবি উচ্চারণ ৬১.৮। ইয়ুরীদূনা লিইয়ুতফিয়ূ নূরল্লা-হি বিআফ্ওয়া-হিহিম্ অল্লাহু মুতিম্মু নূরিহী অলাও কারিহাল্ কা-ফিরূন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৮ তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَى وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ61.9 আরবি উচ্চারণ ৬১.৯। হুওয়াল্লাযী র্আসালা রাসূলাহূ বিল্ হুদা অদীনিল্ হাকক্বি লিইয়ুজ্ হিরাহূ ‘আলাদ্দীনি কুল্লিহী অলাও কারিহাল্ মুশ্রিকূন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.৯ তিনিই তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও সত্য দ্বীন দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে তিনি সকল দ্বীনের উপর তা বিজয়ী করে দেন। যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا هَلْ أَدُلُّكُمْ عَلَى تِجَارَةٍ تُنْجِيكُمْ مِنْ عَذَابٍ أَلِيمٍ61.10 আরবি উচ্চারণ ৬১.১০। ইয়া য় আইয়্যুহাল্লাযীনা আ-মানূ হাল্ আদুল্লুকুম্ ‘আলা- তিজ্বা-রতিন্ তুন্জ্বীকুম্ মিন্ ‘আযা-বিন্ আলীম্। বাংলা অনুবাদ ৬১.১০ হে ঈমানদারগণ, আমি কি তোমাদেরকে এমন এক ব্যবসায়ের সন্ধান দেব, যা তোমাদেরকে যন্ত্রনাদায়ক আযাব থেকে রক্ষা করবে? تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ بِأَمْوَالِكُمْ وَأَنْفُسِكُمْ ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَكُمْ إِنْ كُنْتُمْ تَعْلَمُونَ 61.11 আরবি উচ্চারণ ৬১.১১। তুমিনূনা বিল্লা-হি অরসূলিহী অতুজ্বা- হিদূনা ফী সাবীলিল্লা-হি বিআম্ওয়া লিকুম্ অ আন্ফুসিকুম্; যা-লিকুম্ খইরুল্লাকুম্ ইন্ কুন্তুম্ তা’লামূন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.১১ তোমরা আল্লাহর প্রতি ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনবে এবং তোমরা তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দিয়ে আল্লাহর পথে জিহাদ করবে। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা জানতে। يَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَيُدْخِلْكُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ذَلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ61.12 আরবি উচ্চারণ ৬১.১২। ইয়াগ্ফির লাকুম্ যুনূবাকুম্ অ ইয়ুদ্খিল্কুম্ জ্বান্না-তিন্ তাজ্ব্রী মিন্ তাহ্তিহাল্ আন্হা-রু অ মাসা-কিনা ত্বোয়াইয়িবাতান্ ফী জ্বান্না-তি আদ্ন; যা-লিকাল্ ফাওযুল্ ‘আজীম্। বাংলা অনুবাদ ৬১.১২ তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দিবেন। আর তোমাদেরকে এমন জান্নাতসমূহে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত এবং চিরস্থায়ী জান্নাতসমূহে উত্তম আবাসগুলোতেও (প্রবেশ করবেন)। এটাই মহাসাফল্য। وَأُخْرَى تُحِبُّونَهَا نَصْرٌ مِنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ61.13 আরবি উচ্চারণ ৬১.১৩। অউখ্রা-তুহিব্বূনাহা-; নাছ্রুম্ মিনাল্লা-হি অফাত্হুন্ ক্বরীব্; অবাশ্শিরিল্ মু’’মিনীন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.১৩ এবং আরো একটি (অর্জন) যা তোমরা খুব পছন্দ কর। (অর্থাৎ) আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য ও নিকটবর্তী বিজয়। আর মুমিনদেরকে তুমি সুসংবাদ দাও। يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُونُوا أَنْصَارَ اللَّهِ كَمَا قَالَ عِيسَى ابْنُ مَرْيَمَ لِلْحَوَارِيِّينَ مَنْ أَنْصَارِي إِلَى اللَّهِ قَالَ الْحَوَارِيُّونَ نَحْنُ أَنْصَارُ اللَّهِ فَآمَنَتْ طَائِفَةٌ مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ وَكَفَرَتْ طَائِفَةٌ فَأَيَّدْنَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَى عَدُوِّهِمْ فَأَصْبَحُوا ظَاهِرِينَ 61.14 আরবি উচ্চারণ ৬১.১৪। ইয়া য় আইয়ুহাল্ লাযীনা আ-মানূ কূনূ য় আন্ছোয়া-রল্লা-হি কামা-ক্ব-লা ‘ঈসাব্নু র্মাইয়ামা লিল্ হাওয়া-রিয়্যীনা মান্ আন্ছোয়া-রী য় ইলাল্লা-হ্; ক্ব-লাল্ হাওয়া-রিয়্যূনা নাহ্নু আন্ছোয়া-রুল্লা-হি ফাআমানাত্ ত্বোয়া-য়িফাতুম্ মিন্ বানী য় ইস্র-য়ীলা অকাফারাত্ ত্বোয়া-য়িফাতুন্ ফাআইইয়াদ্নাল্ লাযীনা আ-মানূ ‘আলা- ‘আদুওওয়িহিম্ ফাআছ্বাহূ জোয়া-হিরীন্। বাংলা অনুবাদ ৬১.১৪ হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহর সাহায্যকারী হও। যেমন মারইয়াম পুত্র ঈসা হাওয়ারিদেরকে বলেছিল, আল্লাহর পথে কারা আমার সাহায্যকারী হবে? হাওয়ারিগণ বলল, আমরাই আল্লাহর সাহায্যকারী। তারপর বনি ঈসরাইলের মধ্য থেকে একদল ঈমান আনল এবং অপর এক দল প্রত্যাখ্যান করল। অতঃপর যারা ঈমান আনল আমি তাদেরকে তাদের শত্রুবাহিনীর ওপর শক্তিশালী করলাম। ফলে তারা বিজয়ী হল।

About Abdul Latif Sheikh

Check Also

idf image

সুরা আল ইমরান আয়াত ১০২-১০৫ এর তাফসির

یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰهَ حَقَّ تُقٰتِهٖ وَ لَا تَمُوۡتُنَّ اِلَّا وَ اَنۡتُمۡ مُّسۡلِمُوۡنَ  وَ …

সুরা ইখলাস এর ফযিলত

সুরা আন আনফাল

সুরা আন আনফাল নামের অর্থঃ যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ শ্রেনীঃ মাদানী সুরা ক্রমঃ ৮ আয়াত সংখ্যাঃ …

সুরা ইখলাস এর ফযিলত

সূরা আত-তাওবাহ্‌

সূরা আত-তাওবাহ্‌ শ্রেণীঃ মাদানীনামের অর্থঃ অনুশোচনাঅন্য নামঃ আল-বারাহ্ (শাস্তি থেকে অব্যাহতি) সূরার ক্রমঃ ৯আয়াতের সংখ্যাঃ …

Leave a Reply

Your email address will not be published.